২৬শে মার্চ, (শনিবার) সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি নাবীল আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে ও ট্রাস্টি সাইফুল্লাহ আল আজাদের সঞ্চালনায় সিম্পোজিয়ামটিতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন মুক্তিযোদ্ধা ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পরামর্শক আজিজুর রহমান খান আসাদ, ভূমিপুত্র উন্নয়ন মোর্চা- ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. রমিজ রাজা এবং বিআরআই এর গবেষণা সমন্বয়ক ড. আশফাক আনুপ।
সূচনা বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি নাবীল আশরাফ আলী, একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করেন ও একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের প্রেক্ষিতে পরিচয়ের রাজনীতির ভূমিকা আছে কিনা তা বিশ্লেষণের প্রয়োজন ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় বক্তা খান আসাদ ব্যক্তি হিসেবে মানুষের আত্মপরিচয় কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং সেই পরিচয়কে ঘিরে কাঠামোগত দ্বন্দ্ব ও পরিচয়ের রাজনীতি কীভাবে প্রবাহিত হয়, সেটি তিনটি কেস স্টাডি দিয়ে আলোচনা করেন।
ড. রমিজ রাজা ভারতীয় বাঙালি হিন্দু ও বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয় সংকটের জায়গা এবং গুজরাটি ও মারওয়ারী পুঁজির পৃষ্ঠপোষকতায় উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি দ্বারা বাঙালির নিজস্বতা হারানোর উপক্রম নিয়ে বক্তব্য রাখেন। একইসাথে এসব সমস্যার সমাধান হিসেবে তিনি বাঙালির পরিচয়ের রাজনীতিকে চিহ্নিত করেন।
আলোচনার সবশেষ বক্তা, বিআরআই-এর গবেষণা সমন্বয়ক ড. আশফাক আনুপ তাঁর বক্তব্যে পরিচয়ের রাজনীতির ব্যাপারে মানুষের বহুমুখী মনোভাব ও বিতর্কের কথা তুলে ধরে এর সংজ্ঞায়নের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি বাঙালির পরিচয়ের রাজনীতির গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, ন্যায্যতা/অন্যায্যতা এবং ইতিবাচকতা/নেতিবাচকতা নিয়ে আলোকপাত করেন। বৈশ্বিকভাবে বাঙালি বিদ্বেষের প্রচার ও প্রতিবাদের ব্যাপারে ব্যক্তিমানুষ, সমাজ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দায়িত্বের ব্যাপারেও আলোকপাত করেন তিনি।
আলোচনায় বক্তারা, পরিচয়ের রাজনীতি নিয়ে গণপরিসরে বিদ্যমান অন্ধ নেতিবাচকতাকে এড়িয়ে এর বিশ্লেষণ ও অনুধাবনের মাধ্যমে একে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে উদারনৈতিক প্রয়োগের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। এই সিম্পোজিয়ামকে পরিচয়ের রাজনীতির শীর্ষক আলাপের সূচনা হিসেবে আখ্যায়িত করে, এই আলাপ ভবিষ্যতেও নিয়মিত আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
প্রকাশকঃ Boishakhi tv(online)
প্রকাশকালঃ ২৯-০৩-২০২২ ১৯:০০
সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২৯-০৩-২০২২ ১৯:০০
Entry type: ডেস্ক প্রতিবেদন