Skip to main content

Posts

চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচানোই চ্যালেঞ্জ

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহ সংকট দূর করার লক্ষ্যে প্রণোদনামূলক আর্থিক সহায়তাদানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের বিলুপ্ত এবং বিলুপ্তপ্রায় সিনেমা হলগুলো পুনর্জীবনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী এরূপ ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন রকমের আর্থিক প্রণোদনামূলক কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। সাম্প্রতিককালে সিনেমা হল সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্প এক বিরাট হুমকির সম্মুখীন। সাদা চোখে মনে হয় তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষই চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশের অন্তরায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পটি এখন প্রায় ‘জাদুঘরের সামগ্রী’তেই পরিণত হয়েছে! চলচ্চিত্রের ভালো-মন্দের সব দায় চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট মহলকেই নিতে হবে। পূর্বে রাষ্ট্র চলচ্চিত্রের প্রতি উন্নাসিক থাকলেও তখন মানসম্মত চলচ্চিত্র ছিল। অথচ বর্তমান সরকার নানারূপ প্রণোদনা প্রদানের পরও এই শিল্পটি ক্রমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে! চলচ্চিত্র শক্তিশালী শিল্প ও গণমাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত। আমাদের দেশে সর্বসাধারণের সহজ বিন

“মাত্র ত্রিশ লক্ষ মারা গেছে…”

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার ঠিক বিশ দিন আগে,  ২৬ নভেম্বর ১৯৭১ 'এ যুক্তরাজ্যভুক্ত উত্তর-আয়ারল্যান্ড থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা পিস নিউজ এর এক প্রতিবেদনে, কেবলমাত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও শাসনযন্ত্র দ্বারা সৃষ্ট খাদ্যাভাবের ফলেই বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ সম্ভাব্য মৃত্যুর পূর্বাভাস দেয়া হয়। এই প্রতিবেদনে এমনকি ১৯৭৩-৭৪ সালের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের ব্যাপারেও ভবিষ্যদ্বানী করা হয়। পিস নিউজের মূল প্রতিবেদনটি থেকে বাংলায় ভাষান্তরিত করেছেন-  শোভন রেজা , গবেষণা সহকারী, BRI.   দুর্যোগের পূর্বাভাসকারীরা প্রায়শই একটা জটিল ধাঁধায় আটকে যান, বিশেষত দুর্ভিক্ষ পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে। তারা যদি তাদের ভয়ঙ্করতম অনুমানটি প্রকাশ করতে চেষ্টা করেন, তাহলে তাদের দেখা হয় আতঙ্ক-সৃষ্টিকারী হিসেবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে অনুমান সত্য প্রমাণিত হয়। বাংলা দেশে সংঘটিত ধ্বংসযজ্ঞের পর, ফ্লিট স্ট্রিট (লন্ডন শহরের মিডিয়াপাড়া) হয়তো ১৯৭৪ সালের কোনো এক সময়ে মন্তব্য করে বসতে পারে যে “...মোটে ত্রিশ লক্ষ মারা গেছে …”; অবশ্য বর্তমান অনুমান হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। তবে, পূর্বাভাসকারীটি যদি কিছুই না বলেন, তাহলে তিনি তার নিজের ও মা

PARTITION or UNITY? BENGAL in 1947

 PARTITION or UNITY? BENGAL in 1947 Louis Mountbatten discusses the partition plan with Jawaharlal Nehru and Mohammad Ali Jinnah in 1947. Between May 9 and 14, 1947, in Sodepur near Calcutta, Mahatma Gandhi had a fascinating set of conversations with Hindu and Muslim leaders of Bengal. Sarat Chandra Bose (seen in photograph with Gandhi) explained to him the ethics underlying the effort to preserve the unity of Bengal based on an equitable sharing of power between the two major religious communities. Gandhi told Abul Hashim on May 10 that he was trying to become a Bengali and that he was learning Bengali to be able to appreciate the poems of Rabindranath Tagore in the original. Hashim mentioned that Bengali Hindus and Muslims alike revere the poet. Gandhi argued that the spirit of the Upanishads connected Rabindranath to the entire corpus of Indian culture. If Bengal voluntarily wanted to be associated with the rest of India, Gandhi enquired, what might Hashim have to say about that pro

India ভারতকল্পনা এবং এই দেশ

                                   India ভারতকল্পনা এবং এই দেশ ১৯৪৭-এর পর ভারতের জনগণের যে সাংবিধানিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হল, তার ভিত্তি কিন্তু এ দেশের ইতিহাসে নিহিত ছিল না। রচয়িতা: স্বাধীন দেশের সীমান্ত-নির্ধারণ বৈঠকে (বাঁ দিক থেকে) আবদুর রাব নিশতার, বলদেব সিংহ, জে বি কৃপালনী, বল্লভভাই পটেল, এরিক মেলভিল, জওহরলাল নেহরু, লর্ড মাউন্টব্যাটেন, লিয়াকত আলি খান, দিল্লি, ৭ জুন ১৯৪৭। প্রশ্ন: আপনার সাম্প্রতিক বই দ্য ট্রুথস অ্যান্ড লাইজ অব ন্যাশনালিজম: অ্যাজ ন্যারেটেড বাই চার্বাক আক্ষরিক অর্থে অ-সাধারণ। আপনি বলেছেন এখানে আপনি ‘লেখক’ নন, ‘সম্পাদক’। লেখক বা কথক হলেন প্রাচীন ভারতের দার্শনিক চার্বাক। যেন চার্বাকের একটি পাণ্ডুলিপি এটি। চরম যুক্তিবাদী চার্বাক প্রাচীন কাল থেকে এ কালে এসে দেখছেন, আজকের ভারতে জাতিত্ব নিয়ে মিথ্যা প্রচারের শেষ নেই। সেই প্রচারের কোনগুলি বিকৃত, কোনগুলি ‘মিথ্যা’, ‘সত্যি’গুলিই বা কী রকম— এ সবই বইয়ের আলোচ্য। স্বাধীন ভারতের ৭৫তম জন্মদিনে পৌঁছে আমাদের জানতে ইচ্ছে করে যে, কী বলেন চার্বাক, এর মধ্যে কোন মিথ্যাগুলি ৭৫ বছর বয়সি ভারতকে আজ সর্বাধিক বিপন্ন করতে বসেছে? পার্থ চট্টোপাধ্যায়: আধুন

Why do Bangladeshi companies decline after the Founder’s demise? The answer lies in lack of corporate governance

 Why do Bangladeshi companies decline after the Founder’s demise? The answer lies in lack of corporate governance If some European and American companies can last for hundreds of years, why cannot any Bangladeshi business corporation last following the passing or the retirement of its owners? Illustration: TBS Islam Group, established in 1964, was founded by the then richest person in Bangladesh, celebrated industrialist Jahurul Islam. From 1966 to 1995, Islam Group was arguably the largest conglomerate in the country. There were very few local companies that came close to it. But the death of the Founder changed things. Islam Group broke up into three individual entities. The reason for the break up, among other things, was dependence on a single person and the lack of corporate governance. Had Islam Group incorporated strict obligations that corporate governance entails, the break up the company into separate entities may have been avoided and Islam Group would have still maintained

মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে দক্ষতায় দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে বাংলাদেশ

মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে দক্ষতায় দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের দক্ষতায় দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে বাংলাদেশফাইল ছবি মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে দক্ষতায় দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে বাংলাদেশ। এই অঞ্চলে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে দক্ষতাহীন তরুণের সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে কম। তবে একই বয়সীদের মধ্যে ডিজিটাল দক্ষতায় ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে। মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের দক্ষতা বলতে ঐতিহ্যগত পঠন এবং গাণিতিক দক্ষতাকে বোঝানো হয়েছে, যা সাধারণত স্কুলশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত। আর এই দক্ষতার মাপকাঠিতে বাংলাদেশের ৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ তরুণের এ দক্ষতা নেই। দ্য ওয়ার্ল্ড স্কিলস ক্লক এসব তথ্য তুলে ধরে। জাতিসংঘ শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ, এডুকেশন কমিশন, জেনইউ এবং ওয়ার্ল্ড ডেটা ল্যাবের যৌথ উদ্যোগ দ্য ওয়ার্ল্ড স্কিলস ক্লক। এটি একটি ইন্টারঅ্যাক্টিভ ওয়েব টুল। এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ও দক্ষতা–সংকটের মাত্রা তুলে ধরে। শুক্রবার বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইউনিসেফ ও এডুকেশন কমিশন এ–সংক্রান্ত এ প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি দ্য ওয়ার্ল্ড স্কিলস ক্লক চালু কর

Nurjahan Begum: 1st woman journalist of the country, pioneer in South Asia

  Nurjahan Begum: 1st woman journalist of the country, pioneer in South Asia At Nurjahan’s Narinda residence in Old Dhaka, a signboard hangs  identifying the establishment as “Mohammad Nasiruddin Memorial Building”, while two others belonging to two different organisations testify a feeble attempt to preserve the memories of Nurjahan and Dadabhai. However, none of them is currently active. PHOTO: ANISUR RAHMAN   In the tumultuous times of the 1940s, when women, particularly belonging to conservative Muslim families, were mostly absent in the public sphere, weekly magazine Begum emerged to give them a voice of their own. Established by renowned journalist and Saogat editor Mohammad Nasiruddin, in 1947, the weekly was run by her daughter Nurjahan. And thus, the girl who started hands-on-training on journalism by assisting her father at Saogat's office, went on to become the first female journalist of the country, and a pioneer of female journalism in South Asia. On her sixth death an